Meditation (What is meditation) নিয়ে আলোচনা করার আগে আমার একটা প্রশ্ন আছে । এই লেখাটি পরার আগে কতজন meditation করার চেষ্টা করেছেন? যারা চেষ্টা করেছেন কিন্তু একটা সময় পরে ছেড়ে দিয়েছেন তাদের কি ম্নে হয়েছে? Meditation ব্যাপারটা খুব কঠিন না সহজ?
অনেকের কাছেই meditation খুব কঠিন বলে মনে হয় কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষের কাছে এটা সহজ মনে হয় । আবার অনেকের কাছেই meditation একটা বোরিং ব্যাপার।।তাই না? একজায়গায় একটানা এতক্ষন বসে থাকা বোরিং ব্যাপার তো অবশ্যই ।
তাহলে আসুন আমি আপনি মিলে একটু meditation ব্যাপারটাকে সহজ আর interesting করে নিই, যাতে এখন আমরা শুরু করলে অল্পকিছুদিনেই distract হয়ে ছেড়ে না দিই । তাহলে শুরু করি?
শুরু করার আগে চলুন একটু জেনে নিই এই meditation কি এবং এর উপকারীতাগুলো, যাতে একটু বাড়তি উৎসাহ পাওয়া যায় ।
Table of Contents
এর কোনো নির্দিস্ট কোন সংজ্ঞা হয় না । কারন এটি কোন একটা নির্দিস্ট পদার্থ বা উপায় না যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে । উদাহরন হিসেবে ধরুন আপনি যখন কোন সিড়ি দিয়ে উঠছেন বা নামছেন আপনি বলতে পারবেন ক্টা সিড়ি উঠেছেন বা নেমেছেন? অনেকেই পারবেন না কারন ঐ সময় আপনি অন্য কোন চিন্তায় ব্যাস্ত ছিলেন যা আগে ঘটে গেছে অথবা ঘটতে পারে । অর্থাৎ আপনি অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন । তাই নয় কি?
সহজ ভাবে বোঝাতে গেলে এটাই বলতে হয় meditation হল একটি পথ বা উপায়, যেটা আপনাকে বর্তমান অর্থাৎ present এর সঙ্গে চলতে সাহায্য করবে । আপনার নিজের মন অর্থাৎ চিন্তা ভাবনার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন যাতে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ি সেগুলি ব্যাবহার করতে পারেন ।
Meditation কোন আধুনিক বিজ্ঞানের দান নয় । অতি প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা এক পদ্ধতি যার অনেক গুনাগুন আধুনিক বিজ্ঞান গবেষনার মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছে । গবেষনায় দেখা গেছে meditation করার ফলে মানুষের একাগ্রতা, সচেতনতা, মানবিকতা বৃদ্ধি হয়েছে । Meditation – র উপকারীতা সম্বন্ধে আলোচনা করার আগে একটু meditation করার পদ্ধতি জেনে নিই?
Meditation করার সময় একটা জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে আমরা কোন রকম অস্বস্থি অনুভব না হয় । যেমন কোন নির্দিস্ট আসনে বসার জন্য ব্যাথা অনুভব বা পুরানো কোন ব্যাথায় আঘাত পাওয়া এগুলো যেন না হয় । তাহলে আমাদের মনোযোগ অভ্যাসের দিক থেকে সরে ব্যাথা বা অস্বস্তির দিকে চলে যাবে । তাই নিজেকে যথাসম্ভব আরামদায়ক অবস্থানে রেখে অভ্যাস করাই আমাদের মূল লক্ষ্য ।
Meditation করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিচ্ছি যাতে ভবিষ্যতে অসুবিধা না হয় । এবার চলুন একসঙ্গে শুরু করি.
এগুলো হল আমাদের শারীরিক পদ্ধতি অর্থাৎ কেমনভাবে বসব । এবার আমরা কিছু আভ্যন্তরীন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব ।
এতক্ষন ধরে meditation কি এবং কিভাবে করব জানলাম । আধুনিক বিজ্ঞান গবেষনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের meditation –র নানারকম উপকারীতা খুঁজে পেয়েছে যা জানতে পারলে হয়তো অনেকে অবাক হবেন আবার অনেকে meditation কে নিজের দিনলিপিতে জুড়ে নেবেন । চলুন এবার কিছু উপকারীতা জেনে নিই ।
১) Meditation কোন সময় করা উচিৎ?
উঃ এটি করার কোন নির্দিস্ট সময় নেই । সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অথবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোন সময় করা যেতে পারে । তবে একদম খাওয়ার পরেই করা উচিৎ নয়, কারন তাতে ঝিমুনি আসার প্রবণতা বেশী । তাই না?
২) Meditation কতক্ষণ ধরে করা উচিৎ?
উঃ এককথায় এর উত্তর দিতে গেলে বলতে হয় যতক্ষণ খুশী ।তবে যারা প্রথম্ বার করতে চলেছেন বা খুব সামান্য পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে তাদের উচিৎ কম সময় (৫ মিনিট) দিয়ে শুরু করা এবং অবশ্যই আস্তে আস্তে সময় বাড়াতে হবে ।তবে দিনে অন্তত ২০ মিনিট অভ্যাস করা উচিৎ ।
৩) আমার হাটুতে সমস্যা / হাড়ে ব্যাথা – সেক্ষেত্রে কি করব?
উঃ এরকম কোন সমস্যায় অবশ্যই পা ভাঁজ করে ভ্যাস করা উচিৎ না । তাতে সমস্যা বাড়ে আর meditation ও সফল ভাবে হয় না । যদি চেয়ার আপনার জন্য আরামদায়ক হয় তবে চেয়ারে বসেই করুন । শুধু খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার পায়ের পাতা দুটি মাটিতে স্পর্শ করে থাকে ।
৪) চোখ খুলে meditation করা যায় কি?
উঃ অবশ্যই যায়, তবে তা অনেক পরের ব্যাপার । সাধারণত চোখ খুলে রাখলে আমাদের দৃষ্টিগোচরে আসবে আমরা সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করব তৎক্ষণাত ।তাই প্রাথমিকভাবে চোখ বন্ধ রেখেই অভ্যাস করাই শ্রেয় ।
৫) Meditation করার সময় চারপাশের আওয়াজ ব্যাঘাত ঘটালে কি করব?
উঃ সাধারণত meditation – এর জন্য একটা নিরিবিলি জায়গা খুঁজে নিতে হবে । কিন্তু সেক্ষেত্রে যদি সমস্যা থাকে তবে ear plug ব্যাবহার করা যেতে পারে । যেটা অনেকটাই বাইরের আওয়াজ প্রতিহত করবে । তবে সেটা কোন permanent সমাধান নয় । কিছুদিন পরে ear plug ব্যাবহার করা বন্ধ করা উচিৎ ।
আশা করি meditation নিয়ে সংশয় অনেকটাই মেটাতে পেরেছি ।লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করুন যাতে অন্যরাও উপকৃত হয় । এবং অবশ্যই আপনাদের মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান ।
আমরা সাধারনত একটা কথা বলে থাকি যে কোনোকিছুই অতিরিক্ত ভালো না । এই একই কথা…
শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতিসাধনের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই একটি বহুল প্রচলিত অভ্যাসের নাম হল “যোগ”…
‘স্বাস্থ্য’ কথাটা শুনলে আমরা সাধারনভাবে শুধু শরীরের কথাই ভেবেথাকি, ঠিক পদ্ধতিতে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে শারীরিক স্বাস্থ্যের…
প্রাচীনকাল থেকে যেসকল কৃষিজ শষ্য মানবজাতির কাছে খাদ্যবস্তু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে তার মধ্যে ডাল (Lens…
সূচনা (Introduction) প্রোটিন (Protein) একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাক্রোনিইট্রিয়েন্ট (Macronutrient) যার উৎস (protein sources) আমাদের প্রতিদিনের গ্রহন…
যোগাভ্যাসের বিভিন্ন ধরনের আসন, যা আমাদের দেহের নীচের অংশ যেমন পা, কোমর পেট এবং পিঠ…
View Comments
Nice
Thank you